লটারির মাধ্যমে ভর্তি রেজাল্ট মানতে নারাজ মেধাবীরা

বাবুল হোসেন পঞ্চগড়: করোনা মহামারীর কারণে গত ১৯ শে মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কয়েক ধাপে বন্ধ ২০ সাল পেরিয়ে গেল ।করোনা সংক্রমনের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল ১১ জানুয়ারি বিকেলে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় । এর মধ্যেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা ফেসবুকসহ সাধারণ মানুষের মুখে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ২ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি পরিসংখ্যানে দেখা যায় পৌরসভার প্রায় ৬০ শতাংশ সুযোগ পাইনি নেই অপেক্ষামান তালিকাতে যারা চান্স পেয়েছে অধিকাংশ দেবীগঞ্জ উপজেলার বাইরের।

ভর্তির তালিকা লক্ষ্য করলে দেখা যায় দেবিগঞ্জ পৌরসভার ৭০শতাংশ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী সুযোগ পায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অভিভাবকরা

অভিভাবকরা জানান, যেসব শিক্ষার্থী পাস করতে পারবে না এরকম শিক্ষার্থী বেশিরভাগ সুযোগ পেয়েছে এবং যারা যোগ্য তাদের অনেক সুযোগ পায়নি অভিবাবকরা আরো জানান সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা অবশ্যই কল্যাণকর।তবে এতগুলো মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুযোগ পেল না এতে তাদের ভবিষ্যৎ প্রভাব পড়বে এর দায়ভার কে গ্রহণ করবে।

এদিকে পঞ্চগড় জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকে কান্না করতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চলছে আলোচনা-সমালোচনা

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন,আমার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সুযোগ পেল ছোট ছেলে সুযোগ পায়নি অথচ বড় ছেলের চেয়ে ছোট ছেলে বেশি মেধাবী।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শুরুর আগেই শেষ না হয় এজন্য শিক্ষামন্ত্রী প্রতি করজোড় অনুরোধ অভিভাবকদের