শিরোনাম

প্রকাশঃ Mon, May 8, 2023 12:31 PM
আপডেটঃ Sat, Apr 6, 2024 3:16 PM


আলোচিত যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গাড়ি, বোরকা ও ক্যানভাস স্যু-সহ ৩ আসামী গ্রেফতার

আলোচিত যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গাড়ি, বোরকা ও ক্যানভাস স্যু-সহ ৩ আসামী গ্রেফতার

ফাহিম মুনতাছিমঃ

কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন (৪০) হত্যাকান্ডে আসামীদের ব্যবহৃত গাড়ি, বোরকা ও ক্যানভাস স্যু-সহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। 


গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি এলাকার মৃত মোঃ কালু মিয়ার ছেলে মোঃ রবি (৩৩), একই এলাকার মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে মোঃ শাহপরান (৩৪), একই উপজেলার লালপুর এলাকার সামছুল হকের ছেলে সুমন হোসেন (২৭)।


সোমবার (৮ই মে) সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানের সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রেস মিটিংয়ে এসব তথ্য বলেন।


পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, গত ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গৌরিপুর পশ্চিম বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে বোরকা পরিহিত ৩ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনার পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ দাউদকান্দি থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা সকল সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বোরকা পড়া ০৩ জনকে শনাক্ত করা হয়। আসামীদের ঘটনাস্থলে যাবার আগে ও পালিয়ে যাবার সময় ব্যবহৃত একটি কালো হাইস গাড়ীর চালক আসামী মোঃ সুমন হোসেন (২৭) কে (নারায়নগঞ্জ) মদনপুর হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামী ড্রাইভার সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেয়া তথ্যমতে ঘটনায় ব্যবহৃত আসামীর চালিত কালো হাইস গাড়ীটি গৌরিপুর হাট চান্দিনাস্থ তার ভাড়া বাসার পাশে খালি জায়গা হতে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। এছাড়াও আসামী ড্রাইভার সুমনের বাসা হতে তল্লাশী করে এবং তার দেখানো মতে ঘটনার সময় বোরকা পরিহিত আসামীদের ব্যবহৃত ০২ জোড়া ক্যানভাস সু এবং ঘটনার সময় সুমনের পরিহিত একটি ট্রাউজার উদ্ধার করা হয়। অপর গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহপরান (৩৪) এবং মোঃ রবি(৩৩) ডিএমপি ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ শাহপরান (৩৪) ঘটনার সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে ঘটনাস্থলে থাকা আসামীদের সাথে ঘটনার আগে ও পরে যোগাযোগ করে।


তাদেরকে আত্মগোপনে থাকার বিষয়ে পরিকল্পনা ও সার্বিক সহযোগিতা করে। আসামী শাহ পরান আলোচ্য মামলার ৮নং এজাহার নামীয় আসামী অলি হাসানের ভায়রা ভাই হয়। তার সহযোগিতায় আসামীরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রবি(৩৩) এজাহারনামীয় ০৯নং আসামী কালা মনির এর ভাই। সে ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে আশেপাশে অবস্থান করে শ্যুটারদের তথ্য দেওয়া ও পালাতে সাহায্য করে শাহ পরান এর সহযোগিতার অন্যান্য আসামীদের সাথে আসামী রবি ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপনে থাকে। আসামী রবিকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের পলায়নের পথ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে গৌরিপুর পশ্চিম বাজার জনৈক হাবিবুর রহমানের বিল্ডিংয়ের পাশে আম গাছের নীচ থেকে আসামীদের পরিহিত একটি কালো বোরকা ও হিজাব উদ্ধার করা হয়। 


গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামী ও র‍্যাব ১১ কর্তৃক পূর্বের তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দির এলাকার খুরশিদ মিয়ার ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩৬)। একই উপজেলার মনাইরকান্দি এলাকার মোঃ আক্তার হোসেন শিকদারের ছেলে সোহেল শিকাদার (৪০), দাউদকান্দি উপজেলা গোপচর এলাকার  মৃত বজলুল রহমানের ছেলে শাহ আলম (পা কাটা আলম) (৩৬) সহ মোট ৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ০৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আসামী রবি ও শাহ পরানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি করে মামলা বিচারাধীন আছে।


প্রসঙ্গত, গত রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাঁ এলাকায় সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এতে জামাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. মোয়াজ্জেম আহমেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত জামালের স্ত্রী বাদী হয়ে ৯ জন এজহারনামী আসামী ও ৯ জনকে অজ্ঞাতনামা করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করে।



www.a2sys.co

আরো পড়ুন