মির্জা নুরুন্নবী।।
কুমিল্লায় ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের একাদশ ও অনার্স প্রথম বর্ষের নবীনবরণ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন উচ্চ মাধ্যমিক ও অনার্স প্রথম বর্ষের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এ উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই নবীনদের পদচারণায় মুখর হয় ক্যাম্পাস।
শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয় এবং গানে গানে নবীনদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন সিনিয়র শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. আবু জাহেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি কাজী নাজিয়া হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহ আলম বলেন, শিক্ষা মানুষের মৌল মানবিক গুণাবলী জাগ্রত করে। একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দরকার দক্ষ ও সুশিক্ষিত নাগরিক। অন্যথায় দেশ পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে। এ বিষয়টি উপলব্ধি করেই নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নাজিয়া হক বলেন, আগামীতে তারুণ্যের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলা জরুরি। অন্যথায় সরকারের কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না।
তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার প্রকৃত মাহাত্ম্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন,শিক্ষার জন্য এসে সেবার জন্য বেরিয়ে যেতে হবে। কারণ অপরের প্রতি প্রীতি ও সৌহার্দ্যতা না থাকলে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ সৃষ্টি হয় না। তাই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে দেশ মাতৃকার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষা কোনো কাজে আসবে না বলে তিনি মনে করেন।
শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন পাঠে মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। তিনি ছাত্র-শিক্ষকের সেতুবন্ধন আরও জোরালো করার তাগিদ দেন।
আরও বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার, সৈয়দ মোতাহের আলী, মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান ভূঁঞা, মো. মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কো-অর্ডিনেটরবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপভোগ করে।