ছাবিকুন্নাহার নুর, ঢাকা, ৩আশ্বিন (১৮ সেপ্টেম্বর): ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাখোঁ এর বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেছেন। ক্যান্ডেস ওয়েন্স, একজন মার্কিন কনজারভেটিভ ইনফ্লুয়েন্সার এবং পডকাস্টার, বারবার দাবি করেছেন যে ব্রিজিত ম্যাখোঁ আসলে জন্মসূত্রে পুরুষ। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাখোঁ দম্পতি এবং তাদের আইনজীবী টম ক্লেয়ার মার্কিন আদালতে প্রমাণ পেশের পরিকল্পনা করেছেন। তার মতে, এই ধরনের অভিযোগ ব্রিজিতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর জন্যও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। আইনজীবী টম ক্লেয়ার বিবিসিকে জানান, মামলায় বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে। তবে এই সাক্ষ্য সম্পর্কিত বিস্তারিত কিছু তিনি এখনই প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, "এটা খুবই কষ্টকর যে আপনাকে এই ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন করতে হচ্ছে, কিন্তু আমরা সত্য প্রকাশে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।" এছাড়া, ম্যাখোঁ দম্পতির ব্যক্তিগত ছবি, যেমন ব্রিজিতের গর্ভাবস্থা এবং সন্তান পালনের ছবি আদালতে পেশ করা হবে কিনা, সে সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হলে, টম ক্লেয়ার জানান, এ ধরনের প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হবে। ব্রিজিতের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রথমে ফরাসি ব্লগার আমান্ডাইন রয় এবং নাতাশা রে এর ২০২১ সালের ইউটিউব ভিডিও থেকে ছড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে ম্যাখোঁ দম্পতি মানহানির মামলা জিতে নেন। তবে ২০২৫ সালে আপিল আদালত সেই রায় বাতিল করে দেয়, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভিত্তিক ছিল। এদিকে, ক্যান্ডেস ওয়েন্সের সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষাধিক অনুসারী রয়েছে এবং তিনি বারবার দাবি করেছেন, ব্রিজিত ম্যাখোঁ একজন পুরুষ। ২০২৪ সালের মার্চে তিনি বলেছিলেন, "এই অভিযোগ আনতে আমি নিজের পেশাগত খ্যাতি ঝুঁকিতে ফেলতে রাজি।"