বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ তিনি চান। তার মতে, একটি সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটই দেশের জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি। ভারতের কলকাতার বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি চাই সবাই নির্বাচনে অংশ নিক। এজন্য অনেকে আমাকে ভারতের এজেন্ট, আওয়ামীর দালাল বলে গালাগাল দিচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনার অপকর্ম আমরাও কেন করব? হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। একই কাজ করলে আমরাও তো প্রতিফল পাব।” তিনি আরও বলেন, মানুষ বহু রক্ত ঝরতে দেখেছে, অসংখ্য প্রাণহানি ঘটেছে—এর ভেতর থেকে আওয়ামী-বিরোধিতা জন্ম নিয়েছে। তবে নির্বাচনকে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে সব দলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল নির্বাচনের সময়সূচি, সেনাবাহিনীর ভূমিকা, জামায়াতের আসন দাবি, এনসিপি ও ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়েও খোলামেলা মন্তব্য করেন। তিনি জানান, সেনাপ্রধান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দুজনেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন এবং সেনারা নির্বাচনের পর ব্যারাকে ফিরে যেতে চায়। ভারতের প্রভাব প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল। ভৌগোলিকভাবেও প্রভাব থাকবেই। কিন্তু সমস্যা হলো, ভারত শুধু আওয়ামী লীগকেই বাংলাদেশ ভেবে ভুল করেছে। বিএনপি অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী একটি গণতান্ত্রিক দল—এটি বুঝতে হবে।” তিনি আশ্বাস দেন, বিএনপি আর জামায়াতকে সুবিধা নিতে দেবে না এবং ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ভিসা প্রক্রিয়াসহ সম্পর্ক আরও স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। নুর/আকাশ টিভি