নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে তিন বিএনপি
কর্মীকে গুম করে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে মুরাদনগরের সদর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও ফ্যাসিস্ট
আওয়ামী লীগের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের ঘনিষ্ঠ সহচর নাজমুল হাসান ও তার সন্ত্রাসী
বাহিনী।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে মোচাঘড়া গ্রামের যুবদল কর্মী সবুর খানের ছেলে হৃদয় হাসান, শোলাপুকুরিয়া গ্রামের শ্রমিক দলের কর্মী আব্দুল জলিলের ছেলে এনামুল হক ও হোমনার আব্দুল্লাহকে তাদের কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে যায় মুরাদনগর সদর আওয়ামীলীগ নেতা ওমর আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান,রাসেল, শরীফের নেতৃত্বে ক্যাডার বাহিনী।
বিএনপি কর্মীদের যুবলীগ নেতা নাজমুলের টর্চার সেলে নিয়ে দিনভর নির্যাতন করে। রড,হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ব্লেড দিয়ে শরীরে স্পর্শকাতর জায়গায় জখম করে এবং প্লাস দিয়ে হাত পায়ের নখ উপড়ে ফেলে। এবং জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা না দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
যুবলীগ নেতা নাজমুল বাহিনীর
নির্যাতনে মৃত্যুর মুখোমুখি যুবদল কর্মী এনামুল টাকা দিবে বলে তার বন্ধুুর দোকানে নিয়ে
আসলে। এনামুলের বন্ধুরা এনামুলের রক্তাক্ত দেহ দেখে যুবলীগ নাজমুল গংদের ধাওয়া দিলে
তারা পালিয়ে যায়। এনামুলের তথ্য মতে আহত বাকি দুজনরে নাজমুলের টর্চার সেল থেকে উদ্বার
করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এনামুলের অবস্থা আশন্কাজনক হওয়ায় এনামুলকে
ঢাকায় রেফ্রার্ড করে ডাক্তাররা।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অন্জন বলেন- পুলিশ বিএনপি নিধনে ব্যস্ত আর সন্ত্রাসীরা মুরাদনগরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী নাজমুল ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন- আওয়ামী লীগের আমলে নাজমুল এবং তার ক্যাডার বাহিনী আমাদের বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর নির্যাতন করত। এখনো তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মুরাদনগর সদরের মত জায়গায় এমন পৈশাচিক কর্মকাণ্ডই প্রমান করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা ভয়ানক অবনতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর
থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন- যুবলীগ নেতা নাজমুলকে আমি দুইবার গ্রেফতার করে কোর্টে
পাঠিয়েছি। জানি না এরা কোন মন্ত্রে একদিন পরেই
জামিনে বেরিয়ে আসে। গতকালের ঘটনায় আহতদের দেখিয়ে নিয়ে গেছে। আহতরা চিকিৎসাধীন। এখনো কেউ মামলা করেনি।
উল্লেখ্য যে, সন্ত্রাসী নাজমুল
এর পূর্বেও মুরাদনগরের সাবেক ৫ বারের এমপি ও মন্ত্রী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির
ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এর বাড়িতে ৯ মে শুক্রবার মধ্যরাতে
মাতাল সেজে হামলা করে। সে কায়কোবাদের বাড়িতে মোটরসাইকেলযোগে যায় এবং বাড়ির দরজায় সর্বশক্তি
দিয়ে আঘাত করে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে এবং বাড়িতে থাকা সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল
হোসেন কায়কোবাদ এর ভাগিনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সোহেল আহমেদ বাবুকে হত্যার
উদ্দেশ্যে হামলা করে এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চুরি,ছিনতাই,মাদকসহ
দশটির বেশি মামলা রয়েছে।
নুর/আকাশ টিভি