জাতিসংঘের সামনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনুসকে হেনস্তা করতে নিউইয়র্কে বিভিন্ন দেশ থেকে নেতাকর্মী নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছিলেন আওয়ামী
লীগ নেতা নিঝুম মজুমদার। বর্তমানে মামলার আসামি হয়ে তিনি ঘনঘন ঠিকানা পরিবর্তন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে
এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অজ্ঞাত স্থানে নিঝুম মজুমদার কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে মতবিনিময়
করেন। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশীয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা
করতে হলে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার
তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবে।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে সরকার ও কূটনীতিকদের বাইরেও
বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। নিঝুম মজুমদার হোটেলে অবস্থান
করে হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ছক আঁকেন। জেকসন হাইটস, জামেইকা ও মেনহাটনে অনুষ্ঠিত
সমাবেশে নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে মেনহাটনের গ্রেন্ড
হায়াত হোটেলে প্রধান উপদেষ্টাসহ রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন তিনি।
হোটেল হামলার পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন স্টেটডিপার্টমেন্টকে
জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বাদি হয়ে মামলা করেন
এবং আলামত হিসেবে হামলা ও মহড়ার ভিডিও ফুটেজ প্রদান করেন।
২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনের দিন বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
জাতিসংঘের সামনে সমাবেশ করতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হন। বিএনপির
এক নেতা জানান, তিন-চার দিন ধরে নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ নজিরবিহীন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য
সৃষ্টি করেছে, নেতাদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে এবং হোটেলে এসে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা
দেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের তথ্য বহনকারী বই ও লিফলেট মানবাধিকারকর্মীদের
কাছে বিতরণের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নিঝুম মজুমদার আসার আগেই তাদের প্রতিহত করা
হয়।
নিউজ অনুসারে, নিজুম মজুমদার ভারতীয় দুই সাংবাদিককে সাক্ষাৎকারে
বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে প্রায় দশ লাখ হিন্দু
ভারতে পালিয়ে গেছে।
নুর/আকাশ টিভি