স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে
অসাধু সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের নামে থাকা সম্পত্তি ক্রোক করেছে বাংলাদেশ
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে
বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে ডিএমপি কোতয়ালী থানার মামলা নং-১২,
তারিখ-০৯/০১/২০২২ খ্রি., ধারা- মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ রুজু হয়েছে। তদন্তে
উঠে এসেছে, শ্যাম ঘোষ একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঢাকার সূত্রাপুরে
তার পিতার হোটেলে কাজ করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরীর মাধ্যমে তিনি
অবৈধভাবে প্রাপ্ত স্বর্ণ কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করেছেন এবং মানিলন্ডারিং
প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করেছেন।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, স্বর্ণ
চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান
ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যমুনা ফিউচার পার্কের ৬ষ্ঠ তলার সি ব্লকে তিনটি
দোকান (দোকান নং 5C-054, 5C-055, 5C-056) এবং ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ নামক রেস্টুরেন্ট।
এছাড়া কোতয়ালী থানাধীন ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের ৫ম তলায় একটি ফ্ল্যাট
(ফ্ল্যাট নং ৪/সি) এবং স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাপা’ ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় নিজ ও তার ভাই যৌথ
মালিকানাধীন ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং এ-৬) রয়েছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ব্লক-বি,
লেভেল-৫-এ ‘নন্দন জুয়েলার্স’নামক স্বর্ণের দোকানও তার যৌথ মালিকানাধীন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার
আবেদনের প্রেক্ষিতে, বিজ্ঞ সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ, আদালত ঢাকা, ২৫/০৯/২০২৫ খ্রি.
তারিখে উক্ত সম্পত্তির উপর ক্রোকাদেশ প্রদান করেন। ক্রোককৃত সম্পত্তি রক্ষণের জন্য
পুলিশ কমিশনার ডিএমপি, ঢাকাকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম
ইউনিট এ সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
নুর/আকাশ টিভি