লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কাউসার হোসাইন কুমিল্লা, লাকসাম: দীর্ঘ আশা, স্বপ্ন আর কঠোর পরিশ্রমের ফসল—লাকসাম উপজেলার ৪ নং কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সালেপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে কামরুজ্জামানের খামারটি এখন কেবলই এক বিষাদের প্রতিচ্ছবি।
যে খামারকে কেন্দ্র করে তার জীবনযাত্রা নতুন গতি পেয়েছিল, গতকাল (তারিখ উল্লেখ থাকলে যোগ করা যেতে পারে) রাতের আঁধারে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা সেই স্বপ্নে মাঝপথে থামিয়ে দিয়েছে।
খামারি কামরুজ্জামানের এখন সব শেষ! যে স্বপ্ন আর মেধা দিয়ে তিনি তিলে তিলে এই খামারটি গড়ে তুলেছিলেন, দুর্বৃত্তরা যেন এক লহমায় সেই স্বপ্ন কেড়ে নিল।
রাতের আঁধারে সংঘটিত এই ডাকাতিতে কামরুজ্জামানের খামার থেকে ৮টি বিশাল আকারের গরু এবং ৬টি ছাগল লুট হয়ে গেছে।
এই বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু খোয়ানোয় তার জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন আজ হুমকির মুখে। ডাকাতির পর থেকে কামরুজ্জামানের চোখে শুধু অশ্রু। এই কষ্ট সহ্য করার মতো নয় তার জন্য।
পাড়া-প্রতিবেশীরাও এই ঘটনায় শোকে স্তব্ধ। তারা জানান, "আমরা সবসময় ফেসবুকে বা টিভিতে শুনতাম এমন ডাকাতির খবর। কিন্তু আজ নিজ চোখে দেখলাম কামরুজ্জামানের এমন আহাজারি। এটা সহ্য করার মতো নয়। আমরা প্রতিবেশীরাও এই কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।"
তাদের ভাষ্য, এলাকার এমন একজন পরিশ্রমী মানুষের এমন সর্বনাশ মেনে নেওয়া কঠিন।
ক্ষতিপূরণ ও বিচার দাবি:
এই বিশাল লোকসানের দায় কার—এই প্রশ্ন এখন সালেপুর পশ্চিমপাড়ার প্রতিজনের মুখে মুখে। স্থানীয় সচেতন মহল এই জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত ডাকাতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছে।
খামারি কামরুজ্জামানকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং চোরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো খামারির এমন করুণ পরিণতি না হয়। তারা মনে করছেন, একজন ক্ষুদ্র খামারির পাশে দাঁড়ানো এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।
কামরুজ্জামানের জীবন-জীবিকা সচল রাখতে সমাজের বিত্তবান ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন।
এই নির্মম ডাকাতির ঘটনায় এলাকার অন্যান্য খামারিরাও এখন
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত
খামারি কামরুজ্জামানকে ন্যায়বিচার এনে দেবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন লাকসামের সাধারণ
মানুষ।
আকাশ টিভি/ন