কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফিজিওথেরাপিস্ট নামধারী ডা: বিএম ইয়াসিন আরাফাতের ভূল চিকিৎসায় খাদিজা বেগম নামে এক রোগীর অবস্থা ভয়াবহ। 

অনুমোদনহীন বেসরকারি রোকেয়া স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা পরিচালনা করায় রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী রোগীর স্বামী বাবুল হোসেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার হরিপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৮) গত  ২ ফেব্রুয়ারী বুকের ব্যাথা ও চর্ম জনিত রোগের চিকিৎসার জন্য পৌর সদরের বেসরকারি রোকেয়া স্পেশালাইজড হসপিটালে আসেন।  এসময় হসপিটালের প্রধান নির্বাহী ও ফিজিওথেরাপিস্ট ডাঃ বিএম ইয়াসিন আরাফাত খাদিজা বেগমকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসা দেন। পরে খাদিজা বেগম বাড়িতে চিকিৎসা নেয়ার পর তার শরীরের বিভিন্নস্থানে ফোসকা পড়ে। এর আগে ডাঃ নামধারী বিএম ইয়াসিন আরাফাত চিকিৎসক ফি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ তার কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে খাদিজা ইসলামীয়া জেনারেল হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিলরুবা আক্তারের শরনাপন্ন হলে তিনি ডাক্তার বি এম ইয়াসিন আরাফাতের চিকিৎসাপত্রটি ভূল ছিল বলে আখ্যায়িত করেন। এতে খাদিজা আক্তারের অবস্থার অবনতি হয়।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, রোকেয়া স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডে কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখেন না। সরকারিভাবে হসপিটালটির নেই কোন অনুমোদন। অথচ হসপিটালটিতে অহরহ গর্ভবতী মহিলাদের সিজারিয়ান অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। হসপিটালটির প্রধান নির্বাহী  বিএম ইয়াসিন আরাফাত ফিজিওথেরাপিতে ডিপ্লোমা পাস করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

হসপিটালের প্রধান নির্বাহী ডাঃ বিএম ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বিষয়টি আপনাদের পরে জানাবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান মেহবুব বলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আশরাফুল হককে পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবারকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেব দাস দেব বলেন, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) জানিয়েছি। হসপিটালটি সিলগালা করা হবে।