ছাবিকুন্নাহার নুর,
ডিজেল জ্বালানি ভর্তুকি বাতিলের বিরুদ্ধে ইকুয়েডরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েক দিনের বিক্ষোভের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া পাঁচটি প্রদেশে কারফিউ জারি করেছেন। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট ৮টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নথিতে বলা হয়েছে, 'নিম্নলিখিত প্রদেশগুলোতে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে: কোটোপ্যাক্সি, ইম্বাবুরা, চিম্বোরাজো, বলিভার এবং কার্চি।'
এতে আরও বলা হয়, 'সাতটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে: কার্চি, ইম্বাবুরা, পিচিঞ্চা, আজুয়ায়, বলিভার, কোটোপ্যাক্সি, সান্টো এবং চিম্বোরাজো।'
প্রথক এই বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের প্রশাসন বলেছে, যারা সন্ত্রাসবাদ, অবৈধভাবে রাস্তা অবরোধ এবং সংগঠিত সহিংসতার আশ্রয় নেবেন, তাদের আইন অনুসারে শাস্তি দেওয়া হবে। এটি দমন-পীড়ন নয়, এটি আইন প্রয়োগ। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ডিজেল জ্বালানি ভর্তুকি বাতিল করেন। এর ফলে প্রতি গ্যালনের (৩.৭৮ লিটার) দাম ১.৮ ডলার থেকে ২.৮ ডলারে বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় বেশ কয়েকটি প্রদেশে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নও ধর্মঘট করছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো ডিজেল ও পেট্রোলের জন্য ভর্তুকি বাতিল করার পর একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং পরে আদেশ বাতিল করার পরও ইকুয়েডর বিক্ষোভ ও দাঙ্গায় জর্জরিত হয়ে পড়ে। নোবোয়ার পূর্বসূরী গুইলারমো লাসোও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিলেন।