প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন রবিবার বুদ্ধিজীবী
ও সুশীল সমাজের সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে
তিনি ফোনে কোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও কথা বলেন না। তিনি সকলের জন্য নিজেকে সরাসরি
যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত রাখেন এবং প্রয়োজন হলে লিখিত প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র
সচিব আখতার আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এছাড়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি,
কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি
জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, চর্চার
সম্পাদক সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, “ফোনে কথা বললেই কল রেকর্ড ফাঁস হয়। এই ভয়ে আমি
ফোন ধরি না। আপনারা সরাসরি আসুন, কথা বলুন। দরকার হলে লিখিত প্রস্তাব দিন। আমার দরজা
সবসময় খোলা।” তিনি আরও জানান, এআই নিয়েও সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে এবং এটি মোকাবিলায় সিরিয়াসলি
কাজ করা হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে চাই। সবাই
যাতে দেখতে পারে সে ব্যবস্থা করতে চাই। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগতম জানাবো। দেশীয়
পর্যবেক্ষক যতটা সম্ভব নিবন্ধন দিতে চাই। আমরা চেষ্টা করব আপনারা যে পরামর্শ দেবেন
তা বাস্তবায়ন করতে। অতীতের মতো হবে না। আমরা পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতাও
ফেরত আনছি।”
তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “মানুষকে
নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান। আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন করব। আমাদের সবাইকে
নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। যেকোনো সময়ে আপনারা আমাদের সুপারিশ দিতে পারেন, আমরা গ্রহণ
করব।”
নুর/আকাশ টিভি