ঢাকা, ১৯ আশ্বিন (৪ অক্টোবর): প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
বিশ্বে অস্থিতিশীলতা দূরীকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি শনিবার এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে
‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণ
ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির
মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগ আজও বিশ্বব্যাপী
সমাদৃত।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে হাজার
বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য মিশে আছে। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের
গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যা দেশের বিভিন্ন প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার প্রমাণ করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির
দেশ। আমাদের দেশের মানুষ জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ
পরিবেশে বসবাস করছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করবে। এটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক
মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রাকে সফল করবে।”
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন
এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রকাশ করেন।