বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে। সেই আবরারের মৃত্যুবার্ষিকী—৭ অক্টোবর—এবার জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে “বিডিআর ম্যাসাকার দিবস” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবছর এই দুটি দিবস বিশেষভাবে পালন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকাসহ দেশের সব শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হবে প্রামাণ্যচিত্র “You Failed to Kill Abrar Fahad”। ঢাকার প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন আবরারের বাবা।
এতে আরও জানানো হয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের ইতিহাস, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও ঘটনাবলিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের কাজ চলছে। সেখানে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী ও বিডিআর ম্যাসাকার দিবস যুক্ত করা হচ্ছে।
ফলে এখন থেকে প্রতিবছর ৭ অক্টোবর এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে “আবরার ফাহাদ দিবস” ও “বিডিআর ম্যাসাকার দিবস” হিসেবে পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির সমালোচনামূলক একটি স্ট্যাটাস ফেসবুকে দেন বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ। পরদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নিষিদ্ধ নেতাকর্মী তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি সারা দেশে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি সংস্কারের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে।
আকাশ টিভি/ন