শিরোনাম

প্রকাশঃ Fri, Jan 26, 2024 7:45 PM
আপডেটঃ Sat, Apr 20, 2024 4:31 PM


কুমিল্লায় দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের ৮০তম তিরোধান স্মরণানুষ্ঠান ও ম্যূরাল উন্মোচন ১৬ ফেব্রুয়ারী

কুমিল্লায় দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের ৮০তম তিরোধান স্মরণানুষ্ঠান ও ম্যূরাল উন্মোচন ১৬ ফেব্রুয়ারী

তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা।। আসছে ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার শ্রী শ্রী লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘ ও শ্রী শ্রী লোকনাথ যুব সেবা সংঘ এর যৌথ আয়োজনে কুমিল্লা নগরীর লাকসাম রোডস্থ মহেশাঙ্গণে দানবীর  ঁমহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য মহাশয়ের ৮০তম তিরোধান স্মরণানুষ্ঠান ও ম্যূরাল উন্মোচন করা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হারাধন ভৌমিক। 

তদুপলক্ষে রামায়ণ গান, গীতা পাঠ এবং অসহায়, হতদরিদ্র, ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। 

বাংলাপিডিয়ায় দেওয়া তথ্যে জানা যায়- মহেশ ভট্টাচার্য্য ছিলেন একজন সমাজসেবক। মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ১৮৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ঈশ্বরদাস তর্কসিদ্ধান্ত ছিলেন একজন পণ্ডিত। তার মায়ের নাম রামমালা দেবী।

চরম দারিদ্র্যের কারণে মহেশচন্দ্রের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ হয়নি। তবে তিনি ঘরে বসে লেখাপড়া করেছিলেন। তিনি বঙ্গ বিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৮৮৩ সালে পঞ্চান্ন টাকা পুঁজি করে ব্যবসায়ের লক্ষ্যে কলকাতা যান তিনি। সেখানে ওষুধের ব্যবসা শুরু করেন। পরিশ্রম ও অধ্যবসায় বলে তিনি এ ব্যবসায় সফলতা লাভ করেন।

আজীবন সমাজসেবক মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য  বাবার স্মৃতি রক্ষায় ১৯২৩ সালে কুমিল্লা শহরে প্রতিষ্ঠা করেন ঈশ্বর পাঠশালা। ১৯২০ সালে কুমিল্লা শহরের উপকণ্ঠে শাকতলা পল্লীতে রামমালা ছাত্রাবাস এবং ১৯৩৫ সালে রামমালা গ্রন্থাগার স্থাপন করেন। নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কুমিল্লায় নির্মিত হয় নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় ও নিবেদিতা ছাত্রীনিবাস।

তার নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষা সংসদ। তিনি কাশীধামে প্রতিষ্ঠা করেন ঈশ্বর পাঠশালা টোল। তার প্রচেষ্টায় ১৯৩৫ সালে স্থাপিত হয় রামমালা রোড ও রামমালা ডাকঘর। গ্রামের লোকের পানীয় জলের অভাব দূরীকরণের জন্য নিজ গ্রামে একটি পুকুর খনন করেন।

তীর্থ-ভ্রমণের সময় এক পর্যায়ে বৈদ্যনাথে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি দরিদ্র লোকদের সাহায্য করেন। তিনি এ সময় প্রতিদিন ৪০০/৫০০ জন মানুষকে খাওয়াতেন।

১৯৩৫ সালে তিনি কালীঘাটে যাত্রীদের সুবিধার্থে একুশ নম্বর টালিগঞ্জে কালীঘাট যাত্রীনিবাস নির্মাণ করেন। এই যাত্রী নিবাসে যাত্রীরা ৪/৫ দিন বিনা ভাড়ায় থাকতে পারত।

তিনি বারানসীতে তার সহধর্মিণী হরসুন্দরী দেবীর নামে একটি ধর্মশালা প্রতিষ্ঠা করেন।



www.a2sys.co

আরো পড়ুন