ছাবিকুন্নাহার নুর,
জীবিত অবস্থায় দাফন করতে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে ভর্তির ৮ ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি গতকাল রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় মারা যায়।
জানা যায়, গতকাল রবিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের তালতলা এলাকায় পৌরসভার কবরস্থানে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি কাগজের কার্টনের ভেতর সাদা কাপড়ে ঢাকা শিশুটিকে দাফনের জন্য নিয়ে যান। সেখানে কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা দুজন ব্যক্তিকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে যান তিনি।
এরইমধ্যে কবর খুঁড়ে জানাজা পড়ানোর আগে ওই দুজনের একজন ফারুক মিয়া কার্টন খুলে আজান দিলে শিশুটি কান্না শুরু করে। এ সময় ওই দুজনের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। পরে মোসাদ্দেক আল আকিব ও আশিক বিন রহিম নামে দুজন স্থানীয় সাংবাদিকের সহায়তায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা শিশুটিকে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়ার মধ্যেই শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
ফেমাস স্পেশাল হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টার নামে ওই বেসরকারি ক্লিনিকের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ছোটন জানান, মাত্র ৮০০ গ্রাম ওজনের এই শিশুর অক্সিজেন এবং পুষ্টির অভাব ছিল। তাছাড়া তার শ্বাস-প্রশ্বাসও বাধাপ্রাপ্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েও শিশুটিকে রক্ষা করা যায়নি।
এদিকে, গতকাল রবিবার গভীর রাতে জানাজা পড়িয়ে শিশুটিকে সেই একই কবরস্থানে দাফন করা হয়। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ‘হতভাগ্য শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া এই বিষয় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।’