বিএনপির পদ স্থগিত হওয়া নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট
মো. ফজলুর রহমান বলেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন
না। বুধবার একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দলের অবস্থান ভিন্ন হলেও তার ব্যক্তিগত
মত হলো ইউনূস সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডাকসুর মতো সাজানো বোর্ড তৈরি করে
নির্বাচন বানানো হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দিয়ে আগে থেকেই খেলার ছক আঁকা হয়েছে,
সবকিছু জামায়াতের পক্ষে সাজানো। তার ভাষায়, “ইউনূস সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে
না। কারণ ইউনূসের রাজনৈতিক দল রয়েছে। তিনি যাকে চাইবেন তাকেই প্রধানমন্ত্রী বানাবেন।”
ফজলুর রহমান আরও দাবি করেন, ইউনূস সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা
ইতোমধ্যেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে রেখেছেন। তিনি শফিকুল
আলমের নাম উল্লেখ করে বলেন, প্রেস সেক্রেটারির মুখে এ ধরনের ঘোষণা প্রমাণ করে নির্বাচন
আগেই প্রভাবিত করা হচ্ছে।
জামায়াতের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক নিয়েও তিনি তীব্র সমালোচনা
করেন। তার মতে, এটি “রাতের সম্পর্ক” যা দিনের রাজনীতিতে বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত ও ইউনূসের মধ্যে গোপন সমঝোতা থাকায় নির্বাচনের পরিবেশ স্বচ্ছ
হবে না।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি ইউনূসের অধীনে কোনো নির্বাচন
চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে তিন মাসের জন্য। ওই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন
হতে হবে।” এ সময় তিনি জানান, আইন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন
আয়োজনের পক্ষে তিনি।
নুর/আকাশ টিভি