সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও রাষ্ট্র ও প্রধান রাজনীতিকাদের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তা সহজে সমাধান হচ্ছে না। বিশেষ করে পিআর (সংবিধান পরিবর্তন/প্রাক্তন রাষ্ট্রকে পুনর্বিন্যাস—প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গে) ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াত সম্পূর্ণ বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করায় একটি জটিল রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। জামায়াত পিআর-কে শতভাগ আদায়ের অবস্থান নিলেও বিএনপি তা মানতে রাজি নয়— ফলত আন্দোলন ও প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ইস্যুটি।
মোস্তফা ফিরোজের মতে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর অনেকে আশা করেছিলেন যে তিনি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য, সমঝোতা অথবা অন্ততঃ মধ্যস্থতা করে এই বিভাজন কমাতে সক্ষম হবেন। নিউইয়র্ক সফরেও তিনি তিনটি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন—এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে ইউনূসের আগমণের আগেই জামায়াত রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা করলে বিএনপির তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং দলের মধ্যকার দূরত্ব আরও পরিষ্কারভাবে এসে পড়ে। ফলে ইউনূসের দ্বারা দ্রুত বা কার্যকর কোনও সমাধান আমল করা গেল না বলেই তিনি মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরো উদ্ধৃত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যকে—রাষ্ট্র হচ্ছে ছেলেখেলা নয়, ১৮ কোটি মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে বিভাগ বা ঘরানার রাজনীতি করা যায় না, সংবিধান পরিবর্তনকে বৈধ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাইরে নেওয়া যাবে না এবং জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা। মোস্তফা ফিরোজ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, জামায়াত পিআর-এ অনড় থাকলে এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং আগামী নির্বাচনকে অনিশ্চিত ও অস্থির করে তুলতে পারে।
আকাশ টিভি/ন