চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক চাপে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে, পাশাপাশি কমেছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। নতুন বেকারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে “বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট” প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ছিল ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশে। অর্থাৎ এক বছরে ২ শতাংশ পতন ঘটেছে। এই পতনের প্রধান কারণ হলো নারীদের শ্রমবাজার থেকে ছিটকে পড়া।
বিশ্বব্যাংক জানায়, অতিরিক্ত ৩০ লাখ কর্মক্ষম জনগণ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এতে নারীর কর্মসংস্থান সংকট আরও প্রকট হয়েছে। এ সময় মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ২ শতাংশে, যা এক বছর আগের তুলনায় ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
বিশ্বব্যাংক বলছে, অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি ও নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হ্রাসের ফলে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আকাশ টিভি/ন