বিগত ৫৩ বছর ধরে একাত্তরের চেতনার নামে বাহাত্তরের ভেজাল চেতনা সরবরাহ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মাধ্যমে দেশে এক নতুন চেতনা গজিয়ে ওঠে, আর যারা সেই চেতনার বিরোধিতা করেছে, তাদেরকেই ‘রাজাকার’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
মামুনুল হক অভিযোগ করেন, শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের কাছে গিয়ে নতুন সংবিধানের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছিলেন এবং ভারতের সংবিধান কপি করে ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশের মৌলনীতিতে যুক্ত করেছিলেন। তার ভাষায়, “এর মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হলো।”
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা চার কোটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মহানায়ককে রাজাকার বলে অপমান করেছেন, তাই জনগণ এখন তার বিদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “দেশ কি বাহাত্তরের ধারায় চলবে, নাকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার ধারায়?”
মামুনুল হক বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি
নিশ্চিত না করে নির্বাচনের তোড়জোড় অর্থহীন। “শহীদদের রক্তের সম্মান জানাতে হলে জুলাই
সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করেই আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করতে হবে”—যোগ করেন তিনি।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে একটি গণমিছিল বের হয়ে পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব
হয়ে বিজয়নগরে গিয়ে শেষ হয়।
আকাশ টিভি/ন