ঢাকা | | বঙ্গাব্দ

লাকসাম সালেপুরে মাদকের রমরমা ব্যবসা, প্রশাসন নীরব? তরুণ সমাজকে বাঁচাতে জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি এলাকাবাসীর

author
Reporter

প্রকাশিত : Oct 19, 2025 ইং
মাদকে ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন । ছবির ক্যাপশন: মাদকে ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন ।
ad728

আকাশ টিভি  প্রতিনিধি :কাউছার হোসাইন  লাকসাম (কুমিল্লা): কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ৪ নং কান্দিপাড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সালেপুর গ্রামে গাঁজা ও ইয়াবার জমজমাট ব্যবসা নিয়ে তীব্র উদ্বেগে স্থানীয় বাসিন্দারা। মাদকের করাল গ্রাস থেকে তরুণ সমাজকে বাঁচাতে দফায় দফায় বসার পরও কোনো সমাধান মিলছে না। সবচেয়ে বড় হতাশার বিষয়, বারবার প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া সত্ত্বেও কার্যত কোনো স্থায়ী প্রক্রিয়া বা ফলপ্রসূ পদক্ষেপ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

​এলাকাবাসীর দাবি, মাদকের আদান-প্রদানে মূল ভূমিকা রাখছেন মোঃ সোহাগ হোসেন। গত ১০-১২ দিন আগেও মাদকসহ তাঁকে হাতেনাতে ধরেছিলেন এলাকাবাসী। জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হোসেন মাদকের উৎস হিসেবে দু'জনের নাম উল্লেখ করেন: ইকবাল হোসেন (পিতা: মৃত আব্দুস সাত্তার) এবং ইসমাইল হোসেন (পিতা: বেলায়ত হোসেন)।

​সোহাগের জবানবন্দী নেওয়ার পর তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হলেও, এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাত্র দু'দিনের মাথায় পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। জামিনে মুক্ত হয়েই সোহাগ হোসেন আবার একই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন বলে জানা যায়।

​বারবার ধরা, বারবার মুক্তি: জনমনে প্রশ্ন সর্বশেষ, গত ১৮ অক্টোবর, শনিবার, বিকাল ৫ ঘটিকায় ইয়াবা এবং গাঁজা নিয়ে আবারও মোঃ সোহাগ হোসেনকে হাতেনাতে ধরে গ্রামবাসী। পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এবারও ইকবাল হোসেন (পিতা: মৃত আব্দুস সাত্তার)-এর নাম উল্লেখ করেন।

​স্থানীয়দের সুস্পষ্ট দাবি, সালেপুর গ্রামের ইয়াবা ব্যবসার 'গডফাদার' হলেন এই ইকবাল হোসেন।

​বারবার একই ব্যক্তিকে মাদকসহ হাতেনাতে ধরার পরও এবং প্রধান হোতাদের নাম প্রকাশ করার পরও কেন প্রশাসনিকভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তাদের প্রশ্ন, "বারবার মাদকসহ ধরা পড়েও কেন অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্রুত মুক্তি পেয়ে যাচ্ছেন?"

​পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ: গ্রামের তরুণ সমাজ মাদকের ভয়াল জালে জড়িয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সালেপুরের বাসিন্দারা ঐক্যবদ্ধভাবে পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

​এলাকাবাসী গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলছেন, "আমাদের গ্রামের আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে প্রশাসনের সহযোগিতা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। ইয়াবা ব্যবসার 'গডফাদার' ইকবাল হোসেনের ব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা গ্রামবাসী প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছি।"

​সালেপুরবাসীর এই আকুল আবেদন, প্রশাসন দ্রুত মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে গ্রামটিকে রক্ষা করে তরুণ সমাজকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে সক্রিয় হোক।

আকাশ টিভি/ন


নিউজটি আপডেট করেছেন : Reporter

কমেন্ট বক্স
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আকাশ টিভি২৪.কম
সকল কারিগরী সহযোগিতায় A2SYS