মাকছুদুর রহমানঃ
হাটু পানিতে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা, অনেকের কোমড় পর্যন্ত ভিজা, এর মাঝে শিক্ষক এনে দিলেন উত্তরপত্র, পরীক্ষা শুরু হলো এ চিত্রটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র। সরজমিনে শনিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরজমিনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ পরিদর্শন করে দেখা গেছে কলেজের কলা ভবনের নিচতলার ৫টি পরীক্ষার কক্ষ, বিজ্ঞান ভবনের নিচতলার পরীক্ষার কক্ষগুলো মিলিনিয়াম ভবন, বিজ্ঞান ভবন ২ ও অর্থনীতি ভবনের নিচতলার পরীক্ষার কক্ষগুলোতে হাটু পানি আছে। এর মাঝেই বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও কলেজের প্রবেশপথ, অশোকতলা রেলগেট এলাকা ও ধর্মপুরের তিনটি ফটকেই হাঁটু পানি দেখা গেছে। কলেজের ভিতরে কলাভবন, অর্থনীতি ভবন ও প্রশাসন ভবনের সামনেসহ পুরো ক্যাম্পাসে কমবেশি পানি দেখা গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে ভর্তি-ইচ্ছুক পরিক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা।
কুমিল্লার লাকসাম থেকে আসা আছমা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী জানান, স্বপ্ন নিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছি কিন্তু এখানের জলাবদ্ধতার কারণে পরীক্ষা দিতে অসুবিধা হয়। আমি যেহ হলে পরীক্ষা দেই এটা ছিলো কলা ভবনের নিচের তলায় একটা রুম। রুমের মধ্যে হাটু সমান পানি এ পানির মধ্যে পরীক্ষা দিতে অসুবিধা হয়।
লালমাইয়ের ভুশ্চি বাজার এলাকা থেকে আসা পরীক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জানান, পরীক্ষা আশানুরূপ ভালো হইছে কিন্তু পানিতে এলার্জির সমস্যা থাকায় কাঙ্ক্ষিত পরীক্ষাটা দিতে পারিনি।
চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা সৌরভ জানান, কলেজের এ জলাবদ্ধতার সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। পুরো কলেজেই পানি। পরীক্ষার হলেও হাটুসমান পানিতে পোকামাকড় থাকায় পরীক্ষার পুরো মনোযোগ নষ্ট হয়ে গেছে।
ভর্তি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে আসা কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের হাসানপুর এলাকার কলেজ শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, মেয়েকে ভর্তি পরিক্ষার জন্য নিয়ে এসেছি। মেয়ের পরীক্ষা কক্ষের মধ্যে হাটু সমান পানি ছিলো, এ পানিতে বসে পরীক্ষা দেওয়ায় মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। যাওয়ার পথে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। মেয়ের পরীক্ষা কেমন হইছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে পরীক্ষা আশানুরূপ ভালো হইছে।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, কলেজের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা মাস্টারপ্ল্যান করছি। দ্রুতই এ সংকট নিরসনে কলেজ প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা পালন করব।