কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন (১৮)। ১০ দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। তবে গত বুধবার রাতে সোহানা নিজেই মাকে ফোন করে জানায়, সে বর্তমানে গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ কিশোরী সোহানা খাতুনের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর ওই স্বামী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেন।
এর আগে গত ২০ জুলাই দুপুর ২টার দিকে মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন সোহানা। এরপর থেকে পরিবার, স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মিলে নদীতে তল্লাশি শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি খুলনা ডুবুরি দলও দুইদিন ধরে তল্লাশি চালায়।
এলাকাবাসীর ধারণা- সোহানা হয়তো নদীতে ডুবে গেছে। ঘটনার সময় নদীর পাশে থাকা একজন নারী জানান, সোহানাকে গামলা নিয়ে নদীর পাড়ে দেখা গেলেও পরে তাকে আর দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে