ছাবিকুন্নাহার নুর
তরুণ ও যুবকরাই দেশের প্রধান চালিকাশক্তি—এ মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “যদি তরুণরা দেশের পক্ষে জেগে ওঠে, কোনো শক্তিই তাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে তারুণ্যের ভূমিকা এর প্রমাণ।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত ইউথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, আর সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণদের মেধা, যোগ্যতা ও সৃজনশীলতাই হতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের কর্মমুখী অংশগ্রহণ দেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কর্মক্ষম করে তোলার জন্য সরকার কাজ করছে। তরুণরা দেশকে সমৃদ্ধ করার মূল কারিগর।”
অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, দেশপ্রেম, সাহসিকতা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ১২ জন তরুণ-তরুণীকে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের প্রত্যেককে নগদ এক লাখ টাকা, একটি সম্মাননা ক্রেস্ট ও একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়।
যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে অবদানের জন্য পুরস্কার পান বগুড়ার সুরাইয়া ফারহানা রেশমা, মাগুরার মো. আক্কাচ খান ও নোয়াখালীর মো. জাকির হোসেন।
শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে পুরস্কার পান ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ ও গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেন।
দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য পাবনার মো. দ্বীপ মাহবুব, রাজশাহীর হাসান শেখ ও মো. মুহিন, লালমনিরহাটের মো. জামাল হোসেন, কক্সবাজারের নুরুল আবছার পুরস্কৃত হন।
ক্রীড়া, কলা ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য সাতক্ষীরার আফঈদা খন্দকার এবং বান্দরবানের উছাই মং মার্মা পুরস্কার লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল আলম। তরুণদের সৃজনশীল ও কর্মমুখী কাজে যুক্ত করতে সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেগুলোরও বর্ণনা দেন উপদেষ্টা।