জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম
অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে
শতাধিক দেশের কূটনীতিক সভাকক্ষ ত্যাগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই অনুপস্থিতি ইসরায়েলের
জন্য গুরুতর অপমান হিসেবে রূপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও অধিবেশনকক্ষে
উপস্থিত ছিলেন না। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ
প্রতিনিধি দল অনুপস্থিতির মধ্য দিয়েই ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করে। তিনি
জাতিসংঘের মঞ্চে বলেন, “আমাদের চোখের সামনেই নির্বিচারে গণহত্যা চলছে। গাজার শিশু না
খেয়ে মরছে, হাসপাতাল ও স্কুলে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। যদি আমরা নীরব থাকি, ইতিহাস আমাদের
ক্ষমা করবে না।”
ড. ইউনূস পূর্ব জেরুজালেমকে
রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমারেখায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিও পুনর্ব্যক্ত
করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস টেনে এনে বলেন, “১৯৭১ সালে যেই অধিকারের জন্য
আমরা লড়েছিলাম, আজ সেই অধিকার ফিলিস্তিনিদের অস্বীকার করা হচ্ছে।”
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত
(ICC) গত নভেম্বরে গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর
বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ২ লাখেরও
বেশি ফিলিস্তিনি নিহত, আহত বা নিখোঁজ রয়েছেন, যার প্রায় ৮০ শতাংশই সাধারণ মানুষ।
নুর/আকাশ টিভি