বিসিবি নির্বাচন স্থগিত না করায় সব ধরনের ক্রিকেট
বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহ করা ৪৮টি ক্লাব। পাশাপাশি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে অবৈধ
সভাপতি আখ্যা দিয়েছে ক্লাবগুলো।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মূল চালিকাশক্তি প্রতিযোগী ক্লাবগুলো।
কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনিয়মের
অভিযোগ তুলে যে অংশের সংগঠকরা ভোট বয়কট করেছিলেন, তারা এবার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই সরে
দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ
ঘোষণা দেন মোহামেডান ক্লাবের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান। বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত এই সংগঠকদের
পক্ষ থেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। তাই আমরা আসন্ন সব প্রতিযোগিতা
বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে গত শনিবার তারা বিসিবি নির্বাচন পেছানোসহ তিনটি দাবি
তুলে ধরেছিলেন। একই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও একটি স্মারকলিপি
পাঠানো হয়। তাদের দাবিগুলো ছিল—বিসিবির বর্তমান নির্বাহী পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়ে নির্বাচন
পুনঃতফসিল ঘোষণা, বিকল্প হিসেবে অ্যাডহক কমিটির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর এবং পরবর্তী
সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোট আয়োজন।
তাদের এই অবস্থান উপেক্ষা করে গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় বিসিবি
নির্বাচন, যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একই কথা বলতে বলতে
ক্লান্ত। ৬ অক্টোবরের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
আমরা বহু সরকার দেখেছি, বিতর্কিত নির্বাচন দেখেছি, রাতের ভোট ও দিনের কারচুপি দেখেছি।
কিন্তু এবারের ভোটের মতো প্রকাশ্য প্রহসন আগে কখনও দেখিনি। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম,
কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি। তাই ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, বুলবুল অবৈধভাবে সভাপতি
নির্বাচিত হয়েছেন এবং তাদের ‘বিদ্রোহী সংগঠক’ হিসেবে উল্লেখ করা অন্যায়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মোহামেডান স্পোর্টিং
ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান ও ক্রীড়া সংগঠক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান এর মতো
সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।