বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে ৫ আগষ্ট পালিয়ে যায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার এমপি এবং পদদারী নেতারা। কুমিল্লার মুরাদনগরও তার ব্যাতিক্রম নয়। আওয়ামী লীগের দুই এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলকারী নেতারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তবে ইদানীং মুরাদনগরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে প্রবাসে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা।
মুরাদনগরের আন্দিকোট ইউনিয়নের জাড্ডা গ্রামে ''হায়দার ক্লাব" নামে একটি ক্লাব গঠন করে সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে আওয়ামী লীগ নেতারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সম্পাদক ও গেল উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের (ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন সমর্থিত) উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমেরিকা প্রবাসী রাশেদুল আলম হায়দার ও তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম হায়দারের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জাড্ডা হায়দার ক্লাব নামে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছে।
ক্লাবের নামে আওয়ামী লীগ নেতাদের আস্ফালনে মুরাদনগর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন,বিএনপি, জামায়াত ও সাধারণ জনগন ক্ষুব্ধ।
ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জামাল মিয়া বলেন, ক্লাবের সাথে জড়িত সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ক্লাবের অন্যতম হোতা জামশেদুল আলমের নেতৃত্বে বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে পোষ্টার ও ব্যানার জ্বালিয়ে দেয় এবং নির্বাচনের রাতেই জামশেদুল আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালটে নৌকার সিল মারে।
তিনি আরো বলেন, রাশেদুল আলম হায়দার ও তাে চাচাতো ভাই এনামুল আলম গত ৭ জানুয়ারি ২৪ এর নির্বাচনে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভোট কেন্দ্রে হামলা করে ভোটারদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এরপর সে এবং তার বাহিনী নৌকায় সিল মারে।
উল্লেখ্য যে, ক্লাবের সাথে জড়িত এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী জাকির হোসেন,জসিম উদ্দিন, মহিউদ্দিন, সোলমান মিয়াসহ সকলেই গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে আন্দিকোট ইউনিয়নে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর হামলা মামলাসহ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। এর মাঝে মহিউদ্দিন জঙ্গি মামলায় প্রায় ১ বছর কারাভোগ করে।