ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কোরআন তেলাওয়াত আমাদের হৃদয়ে প্রশান্তি দান করে -কাজী কায়কোবাদ

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jan 11, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728

কোরআন তেলাওয়াত মানুষের হৃদয়ে প্রশান্তি দান করে। এরকম কেরাত সম্মেলন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে হওয়া দরকার। আমি দীর্ঘদিন ফেসিস্ট খুনি হাসিনার কারণে দেশে থাকতে পারিনি। এরকম কেরাত ও ওয়াজ মাহফিল থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি। কোরআনের খেদমতকারী হিসেবে আল্লাহ যেন আমাকে কবুল করেন সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছেন তার সুস্থতার জন্য আপনাদের সবার কাছে দোয়া চাই।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার মুগদায় কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি'র ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এসব কথা বলেন।

আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, পুলিশের ডিআইজি এজাজ আহমদ, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও মাওলানা মামুন চৌধুরী প্রমুখ।

মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ আন্তর্জাতিক কিরাত ও নাশিদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী খ্যাতনামা কারীগণের অংশগ্রহণে এটি একটি অনন্য আয়োজন হয়েছে। আমন্ত্রিত বিদেশি কারিগণ ছিলেন, আনোয়ারুল হাসান শাহ বুখারী (পাকিস্তান) আতা আব্দুল আলিম রসূলী (মালয়েশিয়া) হাদী ইসফিদানি (ইরান) মুখতার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ (ইরাক) হাফিজ আবু মোহাম্মদ আসাদ (ভারত) বাংলাদেশি ক্বারিগণের মধ্যে ছিলেন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম আসাদ, হাফেজ মো. ইমরান হাসান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, সুন্দর কণ্ঠে ইসলামি নাশিদ পরিবেশনা উপস্থাপনের জন্য সম্মেলনে অংশ নেন দেশের প্রখ্যাত গজল শিল্পী শেখ এনাম,কাজী আল আমিন, মুহাম্মদ আহসান, মাওলানা রাশেদ, সাদিক আল কোরাইশী, মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ ইমামুল হকসহ আরও অনেকে।

সভাপতি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, খ্যাতিমান ওয়ায়েজ, আলহাজ্ব মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, উপদেষ্টা, মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন, আলহাজ্ব মাওলানা এরশাদুল হক।

এ আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলনের আয়োজক মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন মাহমুদ বলেন, এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে খ্যাতনামা কারি ও শিল্পীদের একত্রিত করে কুরআনের সুমধুর তিলাওয়াত ও ইসলামি সংগীতের মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য শুধু একটি অনুষ্ঠান আয়োজন নয়, বরং ইসলামি চেতনাকে সবার হৃদয়ে পৌঁছে দেয়া। হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান আমাদের প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম গর্বিত উদ্যোগ, যা তাদের অধ্যবসায় ও সাফল্যের প্রতি সম্মান জানায়। এতে দেশের লাখো মানুষ তাদের সন্তানদের কোরআনে হাফেজ বানাতে আগ্রহী হবে বলে আমি মনে করি।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Reporter

কমেন্ট বক্স