খালিদ বিন ইমরান , কুমিল্লা:মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হওয়া এক মা ও তাঁর শিশুসন্তানকে মধ্যপথে পিছু নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক অপরিচিত যুবকের বিরুদ্ধে। যুবকটি তাদের উদ্দেশ্য করে ‘অবাঞ্ছিত ইশারা-ইঙ্গিত’ দিতে থাকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মা ও শিশু। জীবন বাঁচাতে একপর্যায়ে স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চান তাঁরা। পরে এলাকাবাসী ওই যুবককে গণধোলাই দিলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার কোটবাড়ি গন্ধমতি এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই মহিলা
তাঁর শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কোটবাড়ির বৌদ্ধ
মন্দির পার হওয়ার সময় একজন অপরিচিত লোক তাঁদের পিছু নেওয়া শুরু করে।
মহিলা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা বিষয়টি লক্ষ্য করেন।
তখন যুবকটি তাঁদেরকে বিভিন্ন অবাঞ্ছিত ইশারা-ইঙ্গিত দিতে থাকে। এতে মা ও শিশু দুজনই
প্রচণ্ড ভয় ও আতঙ্কে ভুগতে থাকেন। একপর্যায়ে মহিলা ও তাঁর শিশু আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত
নিয়ে সিএনজি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন।
পরে তাঁরা কোটবাড়ি গন্ধমতি এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের
কাছে সাহায্য চান। ভয়ের কারণে মা ও শিশু দুজনেই এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা দ্রুত এগিয়ে এসে অপরিচিত লোকটিকে
ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। লোকটি প্রথমে তাঁর বাড়ি চান্দিনা এবং কাজের জন্য
কোটবাড়িতে আসার কথা জানায়। মহিলা ও শিশুটিকে পিছু নেওয়ার বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করলেও,
পরে সে স্বীকার করে নেয়।
এ সময় উত্তেজিত জনতা ওই যুবককে গণধোলাই দিতে শুরু করলে, সে
জীবন বাঁচাতে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র
ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ধরনের অসামাজিক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আকাশ টিভি/ন