কুমিল্লায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এটি নিঃসন্দেহে বিএনপির ভেতরে অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট চক্রের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু।
তিনি তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন-
গতকাল কুমিল্লা মহানগরীর কান্দিরপাড়ে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দলীয় কার্যালয়ে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তা কোনোভাবেই একজন আদর্শিক জাতীয়তাবাদী কর্মীর কাজ হতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে বিএনপির ভেতরে অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট চক্রের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
কিছু উশৃঙ্খল ও ভাড়াটে প্রকৃতির ব্যক্তি আকস্মিকভাবে ৩-৪টি ফটকা ফাটায় এবং কার্যালয়টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে সেখানে কাগজ ও পাটের বস্তা ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে মাত্র ২-৩ মিনিটের মধ্যেই তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে স্থানীয়দের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় এবং দলীয় কার্যালয় অক্ষত থাকে।
এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, বরং দলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী সুযোগসন্ধানী চক্রের আসল পরিচয় তুলে ধরেছে। ৫ই আগস্টের পর যারা হঠাৎ করে নিজেদের অবস্থান পাল্টে বিএনপির অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে, আজ তাদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। কুমিল্লার সচেতন নাগরিক সমাজ এবং প্রকৃত বিএনপি নেতাকর্মীরা জানতে চায় এই কি সেই চক্র, যাদের সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল? তারা কি সেই ব্যক্তিরা, যারা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভেতরে অবস্থান নিয়েছে?
বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যাদের ভূমিকা ছিল নিষ্ক্রিয় বা বিভ্রান্তিকর, আজ তারাই দলের নাম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর বাংলাদেশ, জননেতা তারেক রহমানের ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানার পোড়ানো বা ছিঁড়ে ফেলার মতো জঘন্য কাজ কোনো জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী করতে পারে না।
এই অপশক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে দলীয় শৃঙ্খলার আওতায় আনা ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অবিচল থেকে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
অতীতের আন্দোলন ও সংগ্রামে কার কী ভূমিকা ছিল, জুলাই/আগস্ট আন্দোলনে কারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করেছে, কারা ৫ তারিখ এবং ৫ তারিখের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে সকল ধরনের সহযোগিতা করেছেন তা কুমিল্লার মানুষ ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছে।
যারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে ও লিয়াজোঁ বজায় রেখে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তাদের বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
সাধু সাবধান।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Reporter