ঢাকা | | বঙ্গাব্দ

রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি,মানুষের কাজেই লাগছে - শেখ হাসিনা

author
Reporter

প্রকাশিত : Oct 27, 2022 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728

রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি। এটা মানুষের কাজেই লাগছে, মানুষের কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।



এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা পটুয়াখালী জেলার পায়রায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।



প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পায়রা সমুদ্রবন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল ও ছয় লেনের সংযোগ সড়ক, বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং একটি সেতু নির্মাণ।


এ সময় রিজার্ভের টাকা দেশের জনগণের জন্য খাদ্য কেনায়, সার কেনায় গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘কেউ এই অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি’ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।


তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য বন্দর পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করতে সক্ষম হবে এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর সুফল জাতি যুগ যুগ ধরে ভোগ করবে।


‘সামান্য সার্ভিস চার্জে এ টাকা আসলে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ঘরের টাকা ঘরেই থাকছে, কেবল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হয়েছে’ নিজের কথার সঙ্গে যোগ করেন তিনি।



নৌ রুট উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোর বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও প্রাণবন্ত, শক্তিশালী ও উন্নত হবে।


পায়রা বন্দরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, পায়রা বন্দর নামটি তার দেওয়া। তার সরকার এখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে। কয়লার জাহাজ আনার মাধ্যমে এ বন্দরের জাহাজ চলাচল শুরু হয়।


প্রধানমন্ত্রী জানান, তার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল নিজস্ব অর্থায়নে এটি করবেন। কারণ বিদেশি অর্থে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। যে কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভের টাকা দিয়েই তিনি একটি ফান্ড তৈরি করেন। যার নামও তিনি নিজেই রাখেন ‘বাংলাদেশ ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’। সেই ফান্ডের টাকা দিয়েই বন্দরের ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়। রিজার্ভের টাকা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে ব্যয় করার জন্যই এ পদক্ষেপ বলেও জানিয়েছেন তিনি।



বন্দরগুলোতে সরকার নিজস্ব ড্রেজারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছরই মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং আমাদের করে যেতে হবে।


শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সরকার নদী ড্রেজিং করে এই নৌপথকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায়। পাশাপাশি আসাম ও ভুটান পর্যন্তও এ নৌপথ চালু হতে পারবে। সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর নেপাল, ভুটান ও ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এক পাশে মোহনা এবং এক পাশে চট্টগ্রাম বন্দর থাকায় এই পায়রা বন্দরও একসময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।



অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল। অনুষ্ঠানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Reporter

কমেন্ট বক্স
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আকাশ টিভি২৪.কম
সকল কারিগরী সহযোগিতায় A2SYS