মহিউদ্দিন
আকাশ: কুমিল্লা কারাগারে আসামিকে ছাড়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও আসামিকে ছাড়েনি
কারা কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব
অভিযোগ করেন আসামির পক্ষের লোকজন ও আইনজীবী।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,
মুরাদনগর আলোচিত ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
ভূমিকা থাকা দরকার ছিল, আমরা দেখলাম এই হত্যাকাণ্ডে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন
ভূমিকা ছিল না। কারণ এই হত্যাকাণ্ডের যে মূলহোতা শিমুল চেয়ারম্যান তাকে এখনো গ্রেপ্তার
করতে পারেনি তারা। আপনারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখেছেন উপদেষ্টা আসিফের বাবা বিল্লাল
মাস্টার ও তার চাচাতো ভাই ওবায়দুল্লাহ এই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতা। মামলার বাদী ও উপদেষ্টা
আসিফের বাবাকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
কিন্তু আপনারা জানেন এই হত্যাকাণ্ডকে
ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান শাহআলম
সরকারকে গ্রেফতার করানো হয়। অথচ মামলার এজাহারের শাহ আলম চেয়ারম্যানের নাম নেই। মামলার
এজাহারে যে শাহআলমের নাম আছে সেই শাহ আলমের বয়স (৪০)পিতা অজ্ঞাত। অথচ শাহ আলম চেয়ারম্যানের
বয়স ৭৫ বছর। শাহ আলম চেয়ারম্যান একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। তিনি আকবপুর ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান ছিলেন। ওনার পিতার নাম জানেনা ওই ইউনিয়নে এমন কেউ নাই। এই মামলার মূল
আসামি শিমুল চেয়ারম্যানকে বাঁচানোর জন্যই শাহআলম চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করানো হয়।
আমরা বিএনপি আইনগতভাবে এই গ্রেফতারের
মোকাবেলা করেছি। আমরা উচ্চ আদালত এবং নিন্ম আদালতে জামিন চেয়েছি। এবং আদালতের মাধ্যমে
আমরা এই মিথ্যা মামলাকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি। দীর্ঘ দুই মাস ২৩ দিন পর মহামান্য
হাইকোর্ট শাহ আলম চেয়ারম্যানকে জামিন দেয়। এই জামিনের অর্ডার আসার পরে আমাদের উকিলরা
আইনিভাবে জামিনের কাগজ দাখিল করে এবং বিকেল ৩টার পূর্বেই জেলখানায় পৌঁছে যায়। জেলখানায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য কারাগারের সকল
ফরমালিটি সম্পন্ন করা হয়। জেলারের রুমে আসার পর কোত্থেকে জানি ফোন আসে। পরে জেলার বলে
উপর মহলের নির্দেশ আছে তাকে ছাড়া যাবে না।পরে শাহআলম চেয়ারম্যানকে কারাগারের ভেতরে
নিয়ে যাওয়া হয়।
শাহআলম চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
হওয়ার পর থেকে তার জামিন যাতে না হয় এজন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের
আশঙ্কা শাহআলম চেয়ারম্যানের জামিন যেন না হয় এজন্য একটি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ক্ষমতার
অপব্যবহার করে খুনি হাসিনর সময় যেভাবে মানুষকে জেল গেট থেকে ধরে নিয়া যায় হতো, যেভাবে
মানুষকে দিনের পর দিন জেলে রেখে দিতো ঠিক সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তীব্র নিন্দা
ও প্রতিবাদ জানাই।
আমরা সাংবাদিকবৃন্দসহ প্রশাসনের
উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ের মতো করে যেন শাহ আলম চেয়ারম্যানকে
আটকে রাখা না হয়। তাকে যেন দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা সেই আহ্বান জানাচ্ছি। মুরাদনগরকে
নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এই ষড়যন্ত্র যেন বন্ধ হয়। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও প্রশাসনের
দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মুরাদনগর
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও এডভোকেট তৌহিদুর রহমান, উপস্থিত
ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনা আক্তার, এডভোকেট নাছির উদ্দীন আহমেদ,
এডভোকেট সরকার মাহমুদ গিয়াসউদ্দিন,এডভোকেট মহসিন ও এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লার সিনিয়র
জেল সুপারকে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল ও মেসেজ দিলেও তিনি রেসপন্স করেননি
আকাশ টিভি/ন