প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য
জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতৃবৃন্দের
সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায়
রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রশাসনিক রদবদল
ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও
সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা
উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা
আদিলুর রহমান খান বৈঠকে অংশ নেন। বিএনপি নেতারা বৈঠকে প্রস্তাব দেন যেন স্বৈরাচারী
আমলে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিতর্কিত কর্মকর্তারা আসন্ন নির্বাচনে কোনো পদে দায়িত্ব
না পান। পাশাপাশি প্রশাসনের রদবদলে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বানও জানান তারা।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনের
আগে প্রশাসনিক পরিবর্তন তাঁর সরাসরি তত্ত্বাবধানে হবে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের
জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা।
নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে যিনি সক্ষম, তাকেই দায়িত্ব
দেওয়া হবে।” বিএনপি নেতারা পুলিশের নিয়োগ ও বদলি নিয়েও কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন
করায় সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ
জানিয়ে বিএনপি এসব ঘটনার তদন্তের দাবি জানায়।
চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আকাশ টিভি/ন